Detail Biography:
আলেকজান্ডার আলেখাইন
১৯২৭ খৃষ্টাব্দে ক্যাপাব্লাক্কাকে পরাজিত করে তিনি বিশে^র এক নম্বর খোলোয়াড়ের শিরোপাটি হাসিল করেন।
আলেকজান্ডার আলেখাইন ‘একদিকে তিনি অসম্ভব প্রতিভাবান, দৃঢ়চিত্ত, একাগ্র খেলোয়াড়, অন্যদিকে মদ্যপ, মিথ্যাচারী, কামুক ও বদমেজাজী।’
দাবা খেলার ইতিহাস দীর্ঘ। সেই ইতিহাসে এক বর্ণময় বিতর্কিত চরিত্র আলেকজান্ডার আলেখাইন। ‘একদিকে তিনি অসম্ভব প্রতিভাবান, দৃঢ়চিত্ত, একাগ্র খেলোয়াড়, অন্যদিকে মদ্যপ, মিথ্যাচারী, কামুক ও বদমেজাজী।
১৮৯২ খৃষ্টাব্দে রাশিয়ার এক ধনী অভিজাত পরিবারে আলেকজান্ডার আলেখাইন জন্ম। বাল্যকালেই দেখা যায়, দুটো বিষয়ে তাঁর তীব্র আসক্তি-প্রথম, দাবার বোর্ড, দ্বিতীয়-মহিলা।
১৯০৯ খৃষ্টাব্দে মাত্র সতেরো বছর বয়সে তিনি জয় করেন দাবায় অল রাশিয়া অ্যামেচার চ্যাম্পিয়ানশিপ। ১৯১৪ খৃষ্টাব্দে বিশ^ দাবা প্রতিযোগিতায় তৃতীয় স্থান পেয়ে স্বদেশে ও বিদেশে নজর কাড়েন।
যশ ও অর্থের প্রাধান্যে তিনি নিত্য নতুন বান্ধবী যোগাড় করে নিতেন, যদিও একজন ব্যারোনেসকে তিনি বিয়ে করেছিলেন।
আলেখাইন সোভিয়েত কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য হন। কিন্তু তাঁর চরিত্রের কোনও সংশোধন ঘটে নাই। বরং আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। তাঁর একটি কন্যা সন্তানের জন্মও হয়। ওই অবস্থাতেই তিনি দ্বিতীয়বার বিয়ে করলেন সুইস কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য এনেলেজ রুইগকে। এনেলেজকে নিয়ে তিনি জার্মানিতে গেলেন এবং আর কনোও দিনই রাশিয়ায় ফিরে আসেন নি।
পরবর্তী পাঁচ বছরের মধ্যে আলেখাইন বিশে^র সবচেয়ে প্রতিভাবান দাবাড়– হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেলেন। ১৯৭২ খৃষ্টাব্দে ক্যাপাব্লাক্কাকে পরাজিত করে তিনি বিশ্বের এক নম্বর খেলোয়াড়ের শিরোপাটি হাসিল করেন।
১৯৩৫ খৃষ্টাব্দে অবশ্য তিনি পরাজিত হন ড. ম্যাক্স ইউর কাছে। এর জন্য দায়ী ছিল তাঁর মাত্রাতিরিক্ত মদ্যপান ও লাগামছাড়া ব্যাভিচার।
এরপরের বছরই আবার আলেখাইন তাঁর খেতাব পুনরুদ্ধার করেন ড. ম্যাক্সকে ১০-৪ ব্যবধানে হারিয়ে। এই জয় পাবার জন্য অন্তত একটা বছর আলেখাইন সংযতভাবে জীবনযাপন করেছিলেন।
আমৃত্যু আলেখাইন ছিলেন দাবায় বিশ^চ্যাপিয়ান। অতিরিক্ত মদ্যপান ও নারীসঙ্গেও হেতু তাঁর শরীর বিবিধ ব্যাধির ক্ষেত্র হয়ে উঠে।
১৯৪৬ খৃষ্টাব্দের ২ শে মার্চ মাত্র চুয়ান্ন বছর বয়সে তাঁর জীবনের পরিসমাপ্তি ঘটে পর্তুগালের এক হোটেলরুমে।
তথ্যসুত্রঃ সেরা জীবনী সমগ্র।
এই তথ্যটি সম্পূরক নয়, সঠিক তথ্য সংযোজনের জন্য গবেষণারত।
বায়োগ্রাফি এভিনিউ’র ঢাকা-চট্টগ্রামের লাইব্রেরীতে বিশ^বিখ্যাত বরণীয়দের আত্মজীবনী গবেষণা ও উদযাপনে অংশগ্রহণ করে নিজে জানুন ও অন্যকে জানান।