• An International Famous People's Database & Celebration Center
  • icon(+88) 01920-000502
  • iconinfo@biographyavenue.com

Josip Broz Tito

Josip Broz Tito

Politician

Nationality: Yugoslavia

Date of Birth: 07-May-1892

Date of Death: 05-Apr-1980

Father Name: Franjo Broz

Mother Name: Marija Broz

Spouse Name: Jovanka Broz

Country: Croatia

Detail Biography:

মার্শাল টিটো
 
যুগোল্লোভাকিয়ার লৌহমানব অবিসংবাদী নেতা
 
যুগোশ্লোভাকিয়া তথা বিশ্বের ইতিহাসে মার্শাল টিটো একজন বরণীয় রাষ্ট্রনায়ক। তাঁকে যুগোশ্লাভাকিয়ায় লৌহমানব বলা হয়।
 
পুরো নাম মার্শাল যোসেফ ব্রোঞ্জ টিটো। জন্ম : ৭ মে ১৮৭২ কুমেরভেক, যুগোশ্লাভাকিয়া। খুবই অভাবী সংসার। ১৫ জন ভাইবোন। তাই স্কুল-কলেজের শিক্ষা টিটো পাননি। মাত্র ১৩ বছর বয়সে জীবিকার সন্ধানে বের হন। তালা মেরামতির কাজ করতেন বাড়ি বাড়ি ঘুরে ঘুরে। পরে এক কামারশালায় নিযুক্ত হন। সময় পেলেই ঘুরে বেড়াতেন। এ কাজ সে কাজ নিয়ে তিনি একবার রোমানিয়ায় যান। এমনকি জার্মানিও ঘুরে আসেন।
 
প্রথম বিশ^যুদ্ধ শুরু হলে স্বাস্থ্যবান টিটো সৈন্যদলে যোগ দিয়ে সাইবেরিয়ায় যান। যুদ্ধ করেন কারপাথিয়ান ফ্রন্টে। যুদ্ধে দুরন্ত সাহস ও বীরত্বের পরিচয় দেন। চাকরিতে পদোন্নতিও হয়। বুকোভিনে যুদ্ধকালে তিনি গুরুতর আহত অবস্থায় রুশ বাহিনীর হাতে বন্দী হন। ১৯২০ খৃষ্টাব্দে মুক্তি পেয়ে একটি রুশ তরুণীকে বিয়ে করেন।
 
১৯২১-এ টিটো কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য হন। ১৯২৩ খৃষ্টাব্দে তাঁকে প্রেপ্তার করা হয়। আর্থিক অবস্থা ছিল খুবেই শোচনীয়। পরিবারকে নিয়মিত আহার জোটাতে পারতেন না। বিনা চিকিৎসায় তাঁর দুটো সন্তান মারা যায়।
 
১৯২৮ খৃষ্টাব্দে টিটো যুগোশ্লাভ কমিউনিস্ট পার্টির পলিটব্যুরোয় ডেপুটি মনোনীত হন। কিছুদিনের মধ্যে শ্লোভানিয়ান কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদকের পদ গ্রহণ করেন।
 
কমিউনিস্ট পার্টি করবার জন্য তাঁকে কয়েকবার জেল খাটতে হয়। কখনও কখনও আত্মগোপন করতে হয়েছে।
 
১৯৪০ খৃষ্টাব্দে টিটো যুগোশ্লাভ কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
 
১৯৫১ খৃষ্টাব্দে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় হিটলার যুগোশ্লাভাকিয়া দখল করে নেন। শুরু হল টিটোর দেশমুক্তি সংগ্রাম। ১৯৪৩ খৃষ্টাব্দে টিটো আড়াই লক্ষ সেনার এক বাহিনী নিয়ে স্বদেশ থেকে জার্মানদের উৎখাত করেন। তাঁর নেতৃত্ব ও বীরত্বের জন্য তিনি ‘মার্শাল’ উপাধি পান।
 
নতুন সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্ররূপে যুগোশ্লাভাকিয়া আত্মপ্রকাশন করে। টিটো হলে দেশের প্রথম প্রেসিডেন্ট। বিশ্বে সর্বত্র তিনি পেয়েছেন অকুন্ঠ সম্মান ও মর্যাদা।
 

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় যুগোশ্লাভিয়ার প্রেসিডেন্ট মার্শাল টিটো পাকিস্তান বাহিনীর নৃশংশ হত্যাকান্ডের তীব্র নিন্দা জানান। তিনি বাংলাদেশের মানুষের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়ান। বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রামের পক্ষে জোরালো সমর্থন জানান। জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের নেতা হিসেবে মার্শাল টিটো ছিলেন জাতীয় মুক্তি আন্দোলনের সমর্থক। বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে তৃতীয় বিশ্বের সমর্থন জোরদার করেন। মার্শাল টিটো ছিলেন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের একজন ত্যাগী বন্ধু। অর্থ,অস্ত্র,পরামর্শ সব দিক দিয়ে তিনি ছিলেন বাংলাদেশের আপন মানুষ।

১৯৭১ সালের ১৭ অক্টোবর ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লীতে রাষ্টপতি ভিভি গিরির প্রদত্ত ভোজসভায় বক্তব্য মার্শাল টিটো বলেন, বাংলাদেশের শরনার্থীরা যাতে তাদের ফেলে আসা বাড়ীঘর ফিরে পেতে পারেন তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।সেখানে উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে।

মার্শাল টিটো একমাত্র প্রেসিডেন্ট " লিজিয়ন অফ অনার", অর্ডার অফ দি বাথ, অর্ডার অফ লেনিন সহ ৯৮ টি আন্তর্জাতিক উপাধি অর্জন করেন।

৬০ টি দেশ থেকে সর্বমোট ১১৯ টি পদক ও সম্মাননা পেয়েছেন।

১৯৮০ সালের ৪ মে যুগোশ্লাভিয়ার প্রেসিডেন্ট মার্শাল টিটো মৃত্যুবরন করেন। মার্শাল টিটোর মৃত্যুতে বাংলাদেশে চারদিনের রাষ্টীয় শোক ঘোষনা করা হয়।

মার্শাল টিটোর মৃত্যুতে যুগোশ্লাভিয়াসহ সারা বিশ্বে নেমেছিল শোকের ছায়া। ৪ জন রাজা, ৩১ জন প্রেসিডেন্ট, ৬ জন প্রিন্স, ২২ জন প্রধানমন্ত্রীসহ মোট ১৫৮ টি দেশের প্রতিনিধির উপস্থিতিতে তাঁর শেষকৃত্য অনুষ্টান সমাপ্তি হয়। যা ছিল সর্ব বৃহৎ শেষ কৃত্যানুষ্টান।

মার্শাল টিটোর মৃত্যুর পর যুগোশ্লাভিয়া ভেংগে বসনিয়া, ক্রোয়েশিয়া, মেসিডোনিয়া, স্লোভেনিয়া, সার্বিয়া, মন্টিনিগ্রো, কসোভো ৭ টি রাষ্টের জন্ম হয়।

২০১৩ সালে বাংলাদেশ সরকার মুক্তিযুদ্ধের অবদানের জন্য মার্শাল টিটোকে " মুক্তিযুদ্ধ মৈত্রী সম্মাননা" পুরষ্কারে ভুষিত করেন। পদক গ্রহন করেন মার্শাল টিটোর ছেলে আলেকজান্ডার ব্রজ।

 
৪ মে ১৯৮০ খৃষ্টাব্দে টিটো পরলোকগমন করেন। তখন তাঁর বয়স ৮৮ বছর।
 
তথ্যঃ সেরা জীবনী সমগ্র ও ইন্টারনেট থেকে।
 

Feedback on Josip Broz Tito

Send Your Feedback

22 + 7 =
[ Example: 6 + 11 = 17 ]
just write the result of addition of two numbers