Detail Biography:
টমাস স্টেয়ার্নস এলিয়ট তিনি টি. এস. ইলিয়ট নামে সর্বাধিক পরিচিত।
১৯২২ সালে তাঁর রচিত ‘ওয়েস্টল্যান্ড’ কাব্যগ্রন্থটি প্রকাশিত হলে বিশ্বময় তাঁর কবিত্বের খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে। তিনি একজন সার্থক কবি, উচ্চশিক্ষিত নাট্যকার ও সাহিত্য সমালোচকও। সমসাময়িককালের সাহিত্যসেবীদের মধ্যে তাঁর মতন বিদ্বান আর কেউ ছিলেন না। কবিতাকে নিয়ে তিনি এত রকমের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছেন যে আমাদের অবাক হতে হয়।
টি.এস. ইলিয়ট ১৮৮৮ সালের ২৬শে সেপ্টেম্বর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিসৌরি অঙ্গরাজ্যের সেন্ট লুইসে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা হেনরি ওয়ার ইলিয়ট, মা শার্লেট শ্যাম্পে স্টনর্স সে সময়কার মোটামুটি পরিচিত কবি।
তাঁকে আধুনিক ইংরেজ কবিতার জনকরূপে আমরা টি.এস.ইলিয়টকে চিহিৃত করতে পারি। তাঁরই হাত ধরে কবিতা রচনার ধারা যেন অনেকটা বদলে যায়।
টি.এস.ইলিয়ট ১৯১৪ খৃষ্টাব্দে ভারতীয় দর্শন ও সংস্কৃত ভাষায় ব্যুৎপত্তি অর্জন করেন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই, তিনি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্র্যাজুয়েট। তিনি সাহিত্য সমালোচক এরভিং ব্যাবিটের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে কাব্যে রোমান্টিসিজমের বিরুদ্ধে আজীবন সামালোচনা করেছেন।
১৯১৪ সালে কবি এজরা পাউন্ডের সঙ্গে পরিচিত হন ও তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্দুও বটে। কবিতার শৈলী নিয়ে নানারকম পরীক্ষা নিরীক্ষা শুরু করেন। সাহিত্য সম্পর্কে তাঁর রচিত প্রবন্ধগুলিও খুব শানিত। বহু পুরনো তত্ত¡কে তিনি চুর্ণ করেন। তিনি স্বয়ং ‘ফেরার এন্ড ফেরার’ নামক এক প্রকাশন সংস্থার কর্ণধার ছিলেন এবং এখান থেকে অনেক তরুণ ও প্রায় অপরিচিত কবিদের কাব্যগ্রন্থ প্রকাশ করে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
১৯১৫ সালে কবিতা ‘কবিতা লাভ সং অফ জে আলফ্রেড গ্রফ্রক’ প্রকাশের মাধ্যমে সবার নজরে কাড়েন।
১৯২০ সালে প্রবন্ধগ্রন্থ ‘দ্য স্যাকরেড উড’ প্রকাশিত হলে বিজ্ঞ মহলে সাড়া পড়ে যায়।
১৯২২ সালে ‘ওয়েস্টল্যান্ড’ কাব্যগ্রন্থটি প্রকাশিত হলে বিশ^জুড়ে তাঁর কবিখ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে।
১৯৪৩ সালে প্রকাশিত হয় নাটক ‘মার্ডার ইন দ্য ক্যাথিড্রেল’। তাঁর শ্রেষ্ঠ নাট্যগ্রন্থ অবশ্য ‘দ্য ককটেল পার্টি’।
তাঁর সর্বাধিক আলোচিত কাব্যগ্রন্থের নাম ‘ফোর কোয়েটেটস’।
১৯১৫ সালে তিনি বিয়ে করেন ভিভিয়ান হে উডকে, ১৯৩৩ সালে তাঁদের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। ১৯৫৭ সালে ইলিয়ট দ্বিতীয়বার বিয়ে করেন ভ্যালোর ফ্লেচারকে।
তিনি ১৯৪৮ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার গ্রহণ করেন। এবং ১৯৪৮ সালে অর্ডার গা মেরিট লাভ করেন।